মেঘার নষ্ট যৌবন
আমি তুলোর মতো নরম -মেঘ হয়ে এসেছিলাম তোমার আকাশে আর তুমি বৃষ্টির বার্তায় সাড়া না দিয়ে শক্ত করে জাপ্টে ধরলে তোমার নতুন শয্যাসঙ্গিনীকে। আমার বৃষ্টি থেকে ছন্দ নিয়ে তুমি নিজেকে রোমাঞ্চিত করলে তবে তা অন্যের জন্য।আমাকে প্রবঞ্চিত করে, দুয়ার জানালা বন্ধ করে তোমার রাগমোচন ঘটলো আর তোমার ঘরের নালা নর্দমায় ছিটে ফোটা জল হয়ে অনুরাগের মোচন ঘটলো আমার
পুলিশের প্রিয়তমা
তুমি রাত জাগো ফাঁকা রাস্তায় ,শুনশান এলাকায় ,আমি রাত জাগি একা বিছানায় ,তোমার কাছে খস খসে রাস্তা হয়ে ওঠে বীরত্ব আর গর্বের প্রতীক আর আমার কাছে এই একাকী বিছানা হয়ে ওঠে খস খসে রাস্তা তাই কখনো ছাদে গিয়ে জোৎসনার সাথে ,কখনো চাঁদের সাথে মনের কথা বলি। মনের ভালোবাসা কিংবা শরীরের হরমোন এসব যেন একটা বিলাসিতা হয়ে যায় পুলিশের প্রিয়তমা হয়ে গেলে
সমকামী মিমি ও আমি
বিছানায় দু পা ছড়িয়ে বই ,গল্প পড়ার অভ্যাস ছিল ,পড়তে পড়তে হয়তো কল্পনা তে কারো রানী হয়ে যেতাম , হয়তো বা কারো বাহু যুগলে বন্দি আছি ভাবতাম ঠিক সে সময়ে মিমি মানে আমার দিদি গড়িয়ে আমার কাছে এসে পড়ত , এই দ্যাখ রে কথা টা বলা মানে হলো হাত না হয় পা দিয়ে খোঁচা মারবেই ,শুয়ে থাকলে পা দিয়ে ,বসে থাকলে হাত দিয়ে কোনো ভাবে স্পর্শ করতো ই
ফুলের পুনর্জন্ম
তুমি মালিক হয়ে চেয়ে থাকো আমার পানে ,তোমার জানালার দিকে আমি মুখ করে থাকি তাই তুমি চাও সারাক্ষণ। তুমি কি জানোনা ? আমি সূর্যমুখী ,আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা আমার স্বভাব ,তুমি তো তা জেনেই আমাকে বপন করেছিলে, তবুও তুমি আমাকে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে নির্দেশ দাও।
ফেরত চিঠি
সেদিন কি খুশি না দেখলাম তোমাকে যেদিন আমি প্রমিজ করে বলেছিলাম যে তোমাকে আর কিছুই বলবোনা, কোনো প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত বা উত্যক্ত করবো না ,তোমার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো খবর নেবোনা ,তোমার সব কিছুই তোমার ব্যক্তিগত মনে করবো ,কি দারুন খুশি তুমি ,আমার কথা শুনে, তবে তোমার খুশি দেখে আমি সেদিন ই জেনেছিলাম - তোমার গভীর মনের লীলা সঙ্গী কে
চামড়ার চাকু
ঝাপসা চোখে ভেসে এলো চাইনিজ চাকু দিয়ে লুট হবার কথা ,আমাকে তারা গালি দিলেও মুক্তি দিয়েছিলো আমার টাকা ছিলোনা বলে ,কিন্তু তুমি আমাকে গালি দাওনি বরং অনেক বছর ধরে আদর করে ,যত্ন করে চামড়ার চাকু দিয়ে ডাকাতি করে গেলে। কি নিষ্ঠুর ,নির্লজ্জ তুমি নিজেই নিজের চামড়া ব্যবসায়ী ,দেখেছি পশুর চামড়া দিয়ে ব্যবসা হয় তবে সেই পশু মৃত্যুর পর ,কিন্তু কি অদ্ভুত তুমি,তুমি তোমার জীবদ্দশায় নিজেই নিজের চামড়ার বাণিজ্য করে গেলে।তোমার ট্যালেন্টের তুলনা হয়না , তবে তোমার এই চাকু খানা কে যত্ন করে রেখো যাতে ধার বেশিদিন থাকে
দোলা হীন দোল Ist Part of দোলা হীন স্পন্দন
শরীরে একটা কাকে ,একটা টিকটিকি তে বিষ্ঠা লাগলেও যেমন পরিষ্কার করে ফেলি ,তোমার হাতের রাঙানো রং যদি জলে ধুইয়ে ফেলি তবে তা লাগিয়ে কি লাভ ,তাই সেই শরীরে কে আগে রং রাঙিয়ে দিলো সেই মোহো ,সেই আবেগ মনে পুষে কেন এতো তাড়াহুড়ো,সবার আগে রং লাগাতে হবে তার কি মানে আছে ? সবার আগে রং লাগাতে সবার আগের অটো রিক্সা তে উঠলাম ,সবার আগের ট্রেনে উঠলাম কিন্তু আগে রং দিতে পারলাম কই আর দরকার ই বা কি ,তাইনা ? এই আবেগের মূল্য কানা কড়ি নেই।
ভেঙে ফেলেছি সোনার খাঁচা
ভালোবাসার মানে কি ? তাকে কি মাত্র একটা হৃদয় আকাশে ,সারাজীবন একটা মুখ দেখিয়ে যাবার নাম ভালোবাসা ? নাকি অসীম আকাশে লক্ষ কোটি হৃদয় ছুঁয়ে আসতে দেবার সমুদ্র পর্বত বিস্তীর্ণ জঙ্গল সব নদীর জল পরীক্ষা করে আসতে দেবার ,সব ঘাটের জল পান করে আসতে দেবার স্বাধীনতা কে প্রেম বলে। জগতের সব কিছু যদি নিজের চোখে ,নিজের ঠোঁঠে ,নিজের রূপের সাথে শেয়ার না করে গেলাম তবে তো এই দুর্লভ জন্ম ব্যর্থ ,তাই প্রেমের নাম করে কোনো বুনো পাখি একমাত্র নিজের বুকের পাঁজরে আটকে রাখা সব টুকুই ভুল
ভালোবাসার পোস্টমর্টেম
আমি মোমবাতি হয়ে সূর্যের অপার দয়া ই বা কিভাবে পাবো ! তোমার দয়া পেতে চাওয়া ই তো হবে আমার দহন -জ্বালা ,তিলে তিলে নিজের অস্তিত্ব বিনাশের আয়োজন।আমাকে যদি সত্যি দয়া করতে তবে সেটা ই হতো প্রেম অর্থাৎ জ্বলন্ত সূর্যের জ্বালাময়ী স্বভাব কে কোমলতায় পরিবর্তিত হবার কথা ছিল কিন্তু এতে তোমার খুব আপত্তি। বলশালী দীর্ঘ্য কায় হাতি নিজে নতজানু হয়ে রাজাকে তার কাঁধে তুলে নেয় ,কিন্তু তাতে হাতি কারো কাছে ছোট হয়ে যায়না বরং একদিক থেকে এটা রাজার ই অক্ষমতা। বড়ো হয়ে কেউ নতজানু হলে কেউ ছোট তো হয় ই না বরং কেউ ছোট হয়ে নতজানু হয়ে অনেক বড় হয়ে যায় তবে তুমি তোমার স্বভাব কে নতজানু করাতে ঘোর আপত্তি রেখেছো , আর সেদিন তো আমার মাথারওষুধ তো তুমি আনো ই নাই কারণ তুমি সত্যি বিশ্বাস করতে না যে আমি পাগল কিন্তু বলার ক্ষেত্রে দাবি করলে আমার মতো অসুখী পাগলের কাছে থেকে তুমি নাকি অসুখী পাগল হয়ে যাবে।তুমি এভাবে নির্ঘাত আমার থেকে চলে গেলে - আমার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলে নিজের স্বভাবের মায়ায়। সেদিন তোমার প্রকৃতি নিয়ে আমার কথা বলতে যাওয়া টা ছিল সত্যের জন্য লড়াই ,আমি হেরে গেছি কিন্তু আমার ভালোবাসা শহীদ হলো। আগে বুঝিনি যে পেখম ছাড়া ময়ূর বলে কিছু হয়না - বৃষ্টি তে ময়ূরের ফুর্তি আর উত্তেজনা কে কেউ কি পারে দাবিয়ে রাখতে ! আর যে পারে সে তো এতোই বিরলতম মহতী যে যে আমার মতো ভাঙ্গারী ফেরিওলা তাকে কেন পেতে যাবে !
SUBSCRIBE
find us on facebook
ARTICLES
ABOUT
quotes
কাকে বিশ্বাস বা ভরসা করা উচিত ?
comments
এরকম গল্প যে কেউ লিখতে পারে , পৌরাণিক শাস্ত্র কেউ একজন লিখেছেন ,আর সেই লেখক নিশ্চই কাউকে হিরো বা সাইড হিরো বানাবেন তাই তার লেখা কে প্রমান হিসেবে ধরবো না , আপনার উপলব্ধি ,আপনার দর্শন ই আপনাকে বা আপনার ভগবান কে বড় করে , যে ভক্ত যত কোমল তার ভগবান তত বড় http://abhaykantho.com/single-rs.php?slno=44
by anirvan bala
sir, manuser jonmno-punorjonmo nia kichu bolen.
by suvam
ধ্যানে সিদ্ধ হতে গেলে চোখ পুরো মেলে দিলে হবে না ,চোখ কে কিছুটা বন্ধ করে রাখা ই লাগে ,তদ্রুপ আমি যদি সব কিছু দেখতে যাই তাহলে আমার লক্ষ্যে দৃষ্টি দিতে পারবো না ,আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা দেখার নয় ,আমি কত কম খরচ করি সেটাই দেখার , ধন হচ্ছে পার্থিব সম্পত্তি ,তাই এটাকে অর্জন করতে গেলে সাময়িক ভাবে পার্থিব অবগুন গুলোর ধারক যেমন- মিতব্যয়ী ,আত্মকেন্দ্রিক ,স্বার্থপর , সহানুভূতি হীন ,কৃপণ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতে হবে ,আর এই দক্ষ অভিনেতা ই পারে ধনী হতে , বেশি উপার্জন কারী ব্যক্তি ই ধনী হবে সেটা নিশ্চিত নয়। Liablities এর বিপরীত হচ্ছে Properties অর্থাৎ দায় এর বিপরীত হচ্ছে সম্পত্তি ,যার যত দায় দায়িত্ব বেশি তার সম্পত্তি ততই কম হবে , দেখা যায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে যারা ধনী সেও যদি বেশি দায়ের মধ্যে থাকে তার পৈতৃক জমিদারি নিঃশেষ হয়ে যায়।
by admin admin
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Howrah