পাঠকের বোকামি
প্রতিদিন সকালে চায়ের সাথে পেপার গিলে গিলে ভাবনায় আর বুদ্ধিতে মেদ জমে গেলো পরিশেষে ও নিজেকে বদলাতে পারলাম না। তার মানে খুব ই পরিষ্কার যে আমরা পাঠক ,দর্শক বা শিক্ষার্থী হিসেবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট । শুধু তাই নয় স্মার্ট পাঠকগণ অধিকতর শিক্ষামূলক বিষয় গুলো এড়িয়ে গিয়ে আগে সেই গুলো ই ক্লিক করে বা ছুইয়ে দেখে যে বইয়ের কাভার এ খুব আকর্ষণীয় ছবি সেঁটে দেওয়া আছে , কোথায় বা কৃত্রিম যৌনতার ফ্লেভার , কোথাও বা যৌন শব্দের সুড়সুড়ি ছড়ানো , কোথাও একটু ভাবের লুকোচুরি দেখে পাঠক সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়
পুরুষের পারকীয়তা নাকি কামাই ?
আজ ও অর্থনীতি পুরুষ সমাজ নিয়ন্ত্রণ করে বলে পুরুষ যেকোনো সময় ঘর থেকে বাইরে যেতে পারে , রাত ১২ টার পর বাড়ি আসলেও কোনো অভিযোগ করা যায় না ক্লান্ত স্বামী কে পাখা দিয়ে বাতাস দিচ্ছে যে স্ত্রী সে কি জানে ,পরকীয়া কাম করে এসে ক্লান্ত নাকি পায়সা কামাই করতে গিয়ে কান্ত হয়ে ফিরছে ঘরে ,কে বলবে তা নিশ্চিত করে ? অথচ ,ঘরের বন্দি নারী একটু পাড়াতে বের হলে ই আজ ও অনেক পুরুষ মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে শাসায়।
উটপাখির দুর্বলতা
কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর রমনীয়তা ও কোমলতা কে পুরুষ জাতি নারীর দুর্বলতা ভেবে তাদেরকে দমন করেছে আবার কোনো ক্ষেত্রে নারী জাতির প্রতি মুগ্ধ হয়ে পুরুষ জাতি নারী কে পুতুল বানিয়ে রেখেছে ,আর এ সব গুলো ই নারী যুগ যুগ ধরে বরদাস্ত বা উপভোগ করেছে ,শেষ পর্যন্ত উটপাখি হারিয়েছে তার ওড়ার ক্ষমতা। উড়তে পারছেনা বলেই কি নারী জাতি এখন কি দয়ার পাত্রী ?
গণতন্ত্রের প্রহরী
আমাদের উপমহাদেশ বিরোধী নেতা তাদের বিরোধী নীতি মালা দিয়ে জনগণকে খুব তাড়াতড়ি আকৃষ্ট করতে সমর্থ নয় -পক্ষান্তরে ভুল বিরোধী নীতি দিয়ে বিরোধীরাই সরকারকে টিকে রাখতে সহায়তা করে।
চরম অসভ্যতার হাতে ই মানব সভ্যতার উত্থান
ভারতবর্ষে বৃক্ষরূপী ঈশ্বর কে বন্দনা করা হলেও বৃক্ষরোপন সেভাবে করা হয়না। শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বের মানবজাতি আদিকাল থেকে এই দোষে দুষ্ট , বলা যায় লাগাতার বৃক্ষ পতনের বিনিময়ে মানুষ তার সভ্যতার উত্থান করেছে। তবে এককথায় বলা যায় - চরম অসভ্যতার হাতে ই মানব সভ্যতার উত্থান।কারো পতন করে আধুনিকতার উত্থান কিন্তু এটাই সত্যি যে এখনো পর্যন্ত সেই সভ্যতার উন্মেষ কে আমরা আধুনিক মানব সভ্যতা বা বিজ্ঞানের জয়যাত্রা বলে মনে করি।
ভাইরাস করোনাতে যাঁরা কৈকেয়ী
আমরা জানতে পারি মহামারীতে কত ক্ষতি হলো মানুষের , কত জন ক্ষুধার জ্বালায় মরতে বসেছে,কত কোটি মিনিমাম দরকার ,আর আজকের করোনার আক্রান্ত আর মৃত্যুর হিসাব তো অনলাইন মিটারে দেখা যায় আর তাই দেখে সবাই দান ও করছেন কিন্তু দানের পরে কি হয় তা আর দেখা যায় না ,এখানে হয়তো গণতন্ত্রের গলি তে লোডশেডিং শুরু হয়ে যায় তবে যাই হোক না কেন সবাই বুঝতে পারে আড়ালে কি হয় ,তবুও দাতা কর্ণ হবার সুযোগ অনেকেই ছাড়বেন না।
পুলিশের ওভার ডিউটি
পুলিশের ডিউটি এতো সহজ নয় ,যদি হতো তাহলে পাড়ার গুন্ডা দিয়ে ডিউটি করা যেত। সাধারণ মানুষের পিনাল কোডের থেকে সরকারি চাকুরীজীবি , আমলা ,প্রশাসনিক কর্ম কর্তা ,মন্ত্রী ,এম এল এ ইত্যাদি ডিপার্টমেন্ট এর পিনাল কোড আরো কঠোর হওয়া উচিত।কিন্তু সেটা ভারতীয় সংবিধানে নেই । সরকারি ও প্রশাসনিক কর্তারা এ এমনিতেই অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে তাই এদের শাস্তি আরো কঠোর হওয়া উচিত ,এদিকে সাধারণ মানুষ জীবন যুদ্ধে এমনিতেই দিশেহারা তাদের শাস্তি শিথিল হওয়া দরকার । সংবিধান এ অনেক কোটা সংরক্ষণ করা আছে কিন্তু রক্ষক যদি ভক্ষক তবে তার শাস্তির কোটা ও আলাদা থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা নেই তাই পুলিশ কে মারলে যে শাস্তি সাধারণ মানুষ পায় তার থেকে কম শাস্তি পায় পুলিশ যখন অন্যায় করে সাধারণ মানুষ কে মারে ,পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো কেস করা হলে তাকে ম্যাক্সিমাম সাসপেন্ড করা হয় ,বিরলতম ক্ষেত্রে পুলিশ সাজা পায়।
ভালো শিক্ষক মানে
শিক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীর সামনে শিক্ষক কেই শিক্ষার্থী হতে হবে ,কারণ শিশুরা অনুকরণের মাধ্যমে ই শেখে ।কেউ ভালো শিক্ষক মানে তিনি আগে খুব ভালো শিক্ষার্থী । এখনকার দিনে শ্রেণীকক্ষে স্ট্যাডি মেটেরিয়ালস নিয়ে যেতে বলা হয়েছে আর কঠোর ভাবে লাঠি নিয়ে যাওয়া নিষেধ ,ভুল ভাবে নিজেরা মার খেয়ে শিখেছি বলে সেটা কে নিজের সন্তানের প্রতি আরোপ করবেন না ,শিক্ষা অমৃত স্বরূপ, যিনি দেন আর যিনি নেন তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করে ,তাই নিজেদের ভুলে অমৃত কে তেতো বানিয়ে দেবেন না। পণ্ডিত হলেই সে ভালো শিক্ষক হতে পারে না ,সংবেদনশীলতা ,অনুভূতি প্রবণতার সাথে শিখন প্রণালী নিয়ে আপডেটেড থাকতে হবে। একজন শিক্ষক হলো Friend ,Guide আর Philosopher ,কিন্তু তিনি Ruler নন ,আমাদের ছেলে বেলাতে দেখেছি শিক্ষক কে শিক্ষার্থীরা বাইরে কোথাও দেখলে ভয়ে এড়িয়ে যেত। অমৃত প্রদান কারী এমন কাউকে দেখে পালিয়ে যাওয়া টা খুব হাস্যকর ! কিন্তু দুঃখের ,কিন্তু এটা কার ব্যর্থতা ? শিক্ষকের না শিক্ষার্থীর ?
বিজ্ঞানের সৎ মা
মাথা কেটে আর এক মাথায় লাগাবার স্বপ্ন দেখি কিন্তু গাছ কেটে আর একটা গাছ লাগাতে পারিনা তাই এখনো ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি ,এইডস এর আতঙ্ক এখনো চলে দিবা রাতি , যেখানে ডাক্তারের কাছে গিয়ে, ধর্ণা দিয়ে ও পায়ের গিটের বা গোড়ালির ব্যাথা এখনো নিরাময় করতে পারলাম না অথচ আজ আমাদের মানুষ জাতি মহাকাশে পাড়ি দেয়,সেখানে বছরের থেকেও বেশি রাত কাটায়
উল্টোরাজার জন্মদাতা
সারা জীবন শ্রেণীকক্ষে পড়াশুনার করার আগে যে দেশ প্রেমের পাঠ নেওয়া হয় জাতীয় সংগীত সম্মিলিত ভাবে পরিবেশনের মাধ্যমে ,তবে সেই দেশ প্রেম ও একসময় ভুলুন্ঠিত হয় পুঁজিবাদের মন্ত্রে , ভারতে বিজ্ঞানী,গবেষক ভালো বেতন পান না তাই তারা প্রবাসী হয় ,বড় বড় আবিষ্কার ও আবিস্কারক কে পুঁজিবাদ ই বন্দি করে রেখেছে , পুঁজিবাদ পরিচালনা করছে ,রাজনৈতিক ,সামাজিক ,নৈতিক , গতি ধারা কে। একজন বড় সায়েন্টিস্ট ,বড় ডাক্তার ,গবেষক তাকেও আকর্ষিত করে নিয়ে যায় এই পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদী দের কাছে টাইআপ হয়ে যায় এই সব বুদ্ধিজীবী বা গবেষক ,ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার।
লাভের সুযোগ
যারা সেমিনার না করে মানুষ কে বুঝাতে পারেন না , সাথে ড্রাম না বাজলে মুখ খুলতে পারেন না , কেউ গলায় মালা না দিলে চিৎকার করতে পারেন না অথচ তারাই নাকি বিপ্লবী কোম্পানি যারা পাবলিক কে পাবলিকের লাভ বোঝাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিচ্ছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে যেখানে কেউ ১ টাকা লাভ দিলে সেখানে সবাই ভিড় করছে ,অথচ এসব সেমিনার সাজানো কোম্পানি গুলো পাবলিকের লাখ টাকা লাভের সুযোগ বোঝাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে , নিজের ভালো পাগলেও বোঝে কিন্তু পাবলিক কেন বোঝেনা , সেটাই এসব কোম্পানি গুলোর বড় দুঃখ।
দেশদ্রোহ
চরম জাতীয়তা বা স্বকীয়তা বোধ ই আলাদা জাতি হিসেবে সম্মান বা অধিকার পাবার ইচ্ছা কে প্রকটিত করে যা একসময় দেশভাগের দুঃস্বপ্ন দেখায়। তাই জাতীয়তা বা স্বকীয়তা বোধের ও একটা পরিসীমা থাকা দরকার। একটা দেশের যেমন নির্দিষ্ট সীমা থাকে তাই একটা দেশে ও নির্দিষ্ট করে নীতিমালা থাকা উচিত। যেমন - পাহাড়ি জাতি আলাদা ,বেঙ্গল জাতি আলাদা ,মুসলিমদের আবেগ আলাদা ,হিন্দুদের আবেগ আলাদা আর এসব দাবি পূরণ করে কে আলাদা ভাবে সম্মান করতে গিয়ে এসে যায় আলাদা অধিকার বোধের বিষয় , এসে যায় ধর্মীয় আবেগ ,টান ,এসে যায় সেই আবেগের সুরক্ষা ও সম্মান আর এটাও দেখা যায় যে ধর্মীয় আবেগ বা টান রাজনৈতিক রেখা বা দেশ কাল কে ও পরোয়া করে না।
সিলেবাসে নাই
রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয় টি প্রাইমারি বা মাধ্যমিক স্তরে কেউ বাধ্যতামূলক ভাবে পড়তে হয়না ,সরকার সিলেবাসে আমাদের অনেক ছাড় দিয়েছে কারণ পড়ার বোঝা কমেছে ,জানি তো একটাই কাজ আমাদের সময়মতো ভোট দেওয়া যাতে ভোটার কার্ড থেকে নাম ক্যানসেল না হয়ে যায়। ভোট দেওয়া ছাড়া এর বাইরে আমরা কিছু ই বুঝি না ,বুঝতে কোনোদিন চাই নি ও আর এ সুবিধা টা ই কোনো কোনো পক্ষ চুটিয়ে উপভোগ করে। দেশের মানুষ যতটা তাদের নেতাকে নিয়ে উৎসুক ততোটাই রাষ্ট্র-জ্ঞান বিমুখ। নাগরিকের যত টুকু রাষ্ট্রনৈতিক অজ্ঞতা থাকে ততো টাই দুর্নীতি গ্রস্থ হয় সময়
ব্যর্থ লেখা-পড়া
ভরপুর উৎসাহ নিয়ে একগাদা বই পড়েও যদি কিছু লিখে যেতে না পারি তবে সে পড়া বৃথা, এদিকে অগাধ পান্ডিত্য নিয়ে একগাদা বই লিখে ও যদি আমার কথা বোঝাতে না পারি তবে সে লেখা ব্যর্থ।
SUBSCRIBE
find us on facebook
ARTICLES
ABOUT
quotes
কাকে বিশ্বাস বা ভরসা করা উচিত ?
comments
এরকম গল্প যে কেউ লিখতে পারে , পৌরাণিক শাস্ত্র কেউ একজন লিখেছেন ,আর সেই লেখক নিশ্চই কাউকে হিরো বা সাইড হিরো বানাবেন তাই তার লেখা কে প্রমান হিসেবে ধরবো না , আপনার উপলব্ধি ,আপনার দর্শন ই আপনাকে বা আপনার ভগবান কে বড় করে , যে ভক্ত যত কোমল তার ভগবান তত বড় http://abhaykantho.com/single-rs.php?slno=44
by anirvan bala
sir, manuser jonmno-punorjonmo nia kichu bolen.
by suvam
ধ্যানে সিদ্ধ হতে গেলে চোখ পুরো মেলে দিলে হবে না ,চোখ কে কিছুটা বন্ধ করে রাখা ই লাগে ,তদ্রুপ আমি যদি সব কিছু দেখতে যাই তাহলে আমার লক্ষ্যে দৃষ্টি দিতে পারবো না ,আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা দেখার নয় ,আমি কত কম খরচ করি সেটাই দেখার , ধন হচ্ছে পার্থিব সম্পত্তি ,তাই এটাকে অর্জন করতে গেলে সাময়িক ভাবে পার্থিব অবগুন গুলোর ধারক যেমন- মিতব্যয়ী ,আত্মকেন্দ্রিক ,স্বার্থপর , সহানুভূতি হীন ,কৃপণ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতে হবে ,আর এই দক্ষ অভিনেতা ই পারে ধনী হতে , বেশি উপার্জন কারী ব্যক্তি ই ধনী হবে সেটা নিশ্চিত নয়। Liablities এর বিপরীত হচ্ছে Properties অর্থাৎ দায় এর বিপরীত হচ্ছে সম্পত্তি ,যার যত দায় দায়িত্ব বেশি তার সম্পত্তি ততই কম হবে , দেখা যায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে যারা ধনী সেও যদি বেশি দায়ের মধ্যে থাকে তার পৈতৃক জমিদারি নিঃশেষ হয়ে যায়।
by admin admin
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Aman
Why do we use it? It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using 'Content here, content here', making it look like readable English.
by Howrah