পুকুরে ইলিশ মাছ

প্যাট্রিওটিজম আর পলিটিক্স একসাথে হতে পারেনা , দেশপ্রেম হলো ত্যাগ ,নিজের উপার্জিত অর্থ আর জীবন কে ও উৎসর্গ করা হলো দেশ প্রেম ,আর এর উল্টো টা ই হচ্ছে তথাকথিত রাজনীতি। রাজনীতির মধ্যে মিথ্যাচার থাকে ,ভাণ থাকে, কৌশল থাকে , দেশপ্রেমের মধ্যে কৌশল ,মিথ্যাচার বা ভাণ থাকে না ,দেশ প্রেম দেখানোর জন্য নয় ,নিজের তৃপ্তির জন্য ,সেটা অন্যকে ভালোবাসার জন্য , নিজেকে সরিয়ে অন্যকে সুরক্ষিত করা ই দেশ প্রেম। আর পলিটিক্সের মানে হচ্ছে সবসময় অন্য পক্ষের কার্যকলাপ কে ভুল প্রমান করা ,তাকে সরিয়ে নিজে উপবেশন করা ,এক রাজনৈতিক ব্যক্তি একে অপরকে দেশ প্রেমিক মনে করেন না ,বা মনে করতে পারেন না কারণ সেটা করলে বিরোধিতা করা যায় না , কিন্তু প্রতি টি রাজনীতিক নিজেকে দেশ প্রেমিক বলে দাবি করে ,যদি ও এটা বিভ্রান্তিকর । পাবলিক এর সামনে নিজেকে সমব্যাথী কনভিন্সড করতে পারা টাই হলো সফল রাজনীতি। পৃথিবীতে এযাবৎ যে সব বিপ্লব , উন্নতি বা আবিষ্কার হয়েছে তার সবটুকুই ব্যক্তি গত প্রচেষ্টায় ,সমষ্টি গত ভাবে নয়। দল বা গোষ্ঠী দিয়ে কিছু করা যাই নি কারণ যায় ও না, দলে মতোবিরোধ থাকে বা মতান্ধতা থাকে । একজন দেশ প্রেমিক একটা দল গঠন করতে পারে মানে উদ্বুদ্ধ করতে পারে কিন্তু একটি দল ট্রেনিং দিয়ে কাউকে দেশ প্রেমিক বানাতে পারে না। দেশ প্রেমের বা মানব প্রেমের বা জনগণের প্রেমের জন্য কোনো দল , সংগঠন,গোষ্ঠী এর আশ্রয়ে যেতে হয় না। বিবেকানন্দ , নিবেদিতা , মাদার তেরেসা , ভগৎ সিং এরকম আরও অনেক আছে যাঁরা এক মনে , এক সিদ্ধান্তে মানুষের জন্য বা দেশের জন্য নিবেদিত হয়েছেন। ঝাড়ু হাতে নিয়ে মিডিয়া কে ডাকা মানেই আমি স্বচ্ছ অভিযানের নায়ক সেটা হতে পারে না, তাই রাজনীতিকের মধ্যে দেশপ্রেম খুঁজতে যাওয়া মানে পুকুরে ইলিশ মাছ খোঁজা । তবে যার টাইম পাস্ করতে ইচ্ছা তিনি তো একটা কিছু খোঁজা নিয়ে থাকতেই পারেন।
admin admin
ধ্যানে সিদ্ধ হতে গেলে চোখ পুরো মেলে দিলে হবে না ,চোখ কে কিছুটা বন্ধ করে রাখা ই লাগে ,তদ্রুপ আমি যদি সব কিছু দেখতে যাই তাহলে আমার লক্ষ্যে দৃষ্টি দিতে পারবো না ,আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা দেখার নয় ,আমি কত কম খরচ করি সেটাই দেখার , ধন হচ্ছে পার্থিব সম্পত্তি ,তাই এটাকে অর্জন করতে গেলে সাময়িক ভাবে পার্থিব অবগুন গুলোর ধারক যেমন- মিতব্যয়ী ,আত্মকেন্দ্রিক ,স্বার্থপর , সহানুভূতি হীন ,কৃপণ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতে হবে ,আর এই দক্ষ অভিনেতা ই পারে ধনী হতে , বেশি উপার্জন কারী ব্যক্তি ই ধনী হবে সেটা নিশ্চিত নয়। Liablities এর বিপরীত হচ্ছে Properties অর্থাৎ দায় এর বিপরীত হচ্ছে সম্পত্তি ,যার যত দায় দায়িত্ব বেশি তার সম্পত্তি ততই কম হবে , দেখা যায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে যারা ধনী সেও যদি বেশি দায়ের মধ্যে থাকে তার পৈতৃক জমিদারি নিঃশেষ হয়ে যায়।