• Connect Us

  • Share Us

 | 

Education

কাকে বিশ্বাস বা ভরসা করা উচিত ?

কাকে বিশ্বাস বা ভরসা করা উচিত ? কাকে মনের সবগুলো গোপন  বাস্তবিক বা কাল্পনিক উপাখ্যান শোনানো উচিত ? মানব  সমাজ আজ ও  বিভ্রান্ত এই সকল প্রশ্নের জবাব পেতে।  হিউম্যান সাইকোলজি স্টাডি করে অনেক এ অনেক উপাত্ত দিয়ে ডালি সাজিয়ে রাখলেও জটিলতার কারণে  সব উপদেশ সবার মনে ধরে না বা সবাই তা মনে রাখতে পারেনা ।  একজন মানুষের ব্রেন ম্যাপিং হাই রোডের মতো স্পষ্ট  নয় , পরিবেশ থেকে একজন মানুষ যা পায় আর তার থেকে যে রিএকশন তা  সকলের ক্ষেত্রে  একরকম হয়না - তাই কে কখন স্বার্থ পর হবে তা বোঝা কঠিন , যেকারণে বলা হয় মানব  মস্তিস্ক খুব ই জটিল ,ফলে এক কথায় বলা যায়না  যে আপনি কাকে বিশ্বাস বা ভরসা করে সব  গোপন তথ্য তার জিম্মায় রেখে দেবেন। সত্যি  সহজ আবিষ্কার করা এখনো সম্ভব হয়নি ,এজন্য কাউকে বুঝতে গেলে আমাদের কে তার এখনো মাথার  চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা লাগে ,তবে সে যদি ছদ্মবেশী হয় তবে আপনার শারীরিক  লক্ষণ শাস্ত্র কোনো কাজের কিছু হবে না।আর আজকের বিচারে কেউ বন্ধু হলেও কালকে এ  কে কখন  স্বার্থপর হবে তা নিশ্চিত করা খুব ই কঠিন তবে এই সমস্যা থেকে  সহজ  সমাধানের পথ একটাই - সেটা হলো অপরকে জানার বৃথা চেষ্টা না করে নিজেকে জানার চেষ্টা করা , অর্থাৎ নিজের জমি নিজে চাষ করা। নিজের জমি নিজে চাষ করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার জমির  ও আপনার নিজের উৎপাদন ক্ষমতা কতখানি। আপনার নিজের ক্ষমতা নিজের জানা একান্ত দরকার , কারণ আপনি কাউকে ততটুকুই বিশ্বাস  বা ভরসা করতে পারবেন যতখানি তাকে খুশি রাখতে পারবেন। কারণ আপনি জানেন না কে স্বার্থপর আর এরকম কাউকে খুশি রাখতে হলে অপার্থিব সত্তা - ত্যাগ , পার্থিব সত্তা - মন ও বস্তু তথা স্বার্থ ,অর্থ বা সম্পদের দরকার হয়। আপনি যদি কাউকে ১০০ ভাগ বিশ্বাস বা ভরসা করে নিশ্চিন্তে হেডফোন কানে গুঁজে  গান শুনে যান  ওদিকে সেই বিশ্বস্ত বা নির্ভরশীল ব্যক্তিকে ১০০ ভাগ খুশি করতে পারছেন না তখন ই কিন্তু সব গোলমালের শুরু  , যখন তাকে আপনি খুশি করতে পারেন না তখন সে তার খুশির জন্য আপনার গচ্ছিত ১০০ ভাগ ভরসা গুলো কে ব্যবহার করতে বা  বেচতে  শুরু করে দেয় যার কাছে সেগুলোর খুব দাম আছে   অর্থাৎ বন্ধক সম্পদ থেকে পিনালটি কেটে নেবার মতো আর কি ,, একসময় আপনার ১০০ ভাগ ভরসা চলে যেতে যেতে শূন্য ভাগ হয়ে যায় তবে  পিনালটি যদি না চান তাহলে কাউকে বিশ্বাস করার আগে তার  চুল নখ না দেখে নিজের ক্ষমতাকে যাচাই করুন যে আপনি তাকে কতখানি তার স্বার্থ বা খুশি মেটাতে ক্ষমতা রাখেন। ১০০ ভাগ বিশ্বাস বা ভরসা করা যদি আপনার সততা না হয়ে দুর্বলতা হয়ে থাকে তবে মনে রাখবেন নিজের  মারণাস্ত্র অন্যের হাতে দিয়ে রেখেছেন আর স্বার্থপর গুলোই এই মারণাস্ত্র  ব্যবহার করে বেঈমান  বা বিশ্বাসঘাতক  রূপে আপনার মনে ,সমাজে বা ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। 

leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Your Name (required)

Email (required)

This email is not valid

Mobile No (required)

Thanks for commentining us.

Some issue during.......