দলত্যাগী নেতা

জনগণ কোনো নেতাকে ভোট দেয় দেশ বা দেশের কোনো এক অংশ পরিচালনার জন্য , সেবা ও পরিষেবা প্রদানের জন্য কে উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ,তবে সেই নেতা কোন দলে থেকে দেশ সেবা করবেন সেটা একজন ভোটার নির্বাচন করেন না।নিজে জলে নেমে মাছ ধরবেন না কি কারো নৌকা তে উঠে মাছ ধরবেন কিংবা আরো বেশি করে মাছ ধরার সুবিধার্তে নৌকা ছেড়ে লঞ্চে উঠবেন এই সিদ্ধান্ত একজন নেতা নিতে ই পারেন। একজন পরীক্ষার্থী ৩ ঘন্টার জন্য পরীক্ষা দিতে বসলে তার খাতা ৩০ মিনিট পর দেখে তাকে মূল্যায়ণ করা যায় না , তার ৩ ঘন্টার সেশন তাকে শেষ করতে দিতে হবে , বেশি ভুল করলে তো ক্ষমা নেই কারণ ৫ বছরের সেশন শেষে জনগণ ই পরীক্ষক হবে। একজন ভোটার জাতি ,ধর্ম বা দল কে ভোট দেয় না ভোট দেয় কোনো জাতি ,বা ধর্মের বা দলের প্রযত্নে থাকা উপযুক্ত ব্যাক্তিকে ,এই উপযুক্ত ব্যক্তি তার কেয়ার অফ চেঞ্জ করতে ই পারেন যদি তিনি পরিষেবা ও সেবা দিতে বাধা গ্রস্থ হন তার দলের কারণে বা নির্বাচিত প্রতিনিধি যদি মনে করেন যে তিনি আরো বেশি সুবিধা ও সুযোগ জনগণ কে দিতে পারবেন অন্য কোনো দলের সাথে যুক্ত হয়ে তবে তার এই শুভেচ্ছা কে সমর্থন করতে হয়। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধি বা নেতার দল ত্যাগের বিষয়টা না দেখে তিনি কি বেশি সুবিধা দেবেন সেটা নিয়ে চর্চা করা উপকারী হবে। দুর্নীতি গ্রস্থ দল ত্যাগ সঙ্গত ও স্বাগত। কৌরবদের দল থেকে যদি পিতামহ ভীষ্ম বেরিয়ে যেতেন তাহলে যুদ্ধই হতো না তাই সেই মহাভারতের মতো ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা বর্তমান ভারতের কোনো নেতার করা উচিত না, দল যাই করুক না কেন আমি দল ছাড়বো না -এই প্রতিজ্ঞা বিধ্বংসী যা দেশ বা জনজাতির কল্যাণে হুমকি স্বরূপ। একজন নেতার আসল পরিচয় হলো তিনি দেশের জাতির সেবক কোন দলের নেতা তিনি এটা তার কেয়ার অফ মাত্র। তাই দলনীতি থেকে দেশ নীতি কে বড় করে কেউ যদি জনগণের পরিষেবা কে আরো মানোন্নত করতে পারেন তবে জনগণ নেতাকে দল পরিবর্তনের কর্ম স্বাধীনতা দিতেই পারে ,সর্বোপরি ৫ বছর পর তো নেতার পরীক্ষা দিতে হয় জনগণের কাছে।
leave a reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *