• Connect Us

  • Share Us

 | 

Religion & Spirituality

মাতৃরূপিণী নয়

শক্তিরূপিণী এক মহাদেবী যিনি  মৃত দেহের সাথে যৌনতা করছেন  আবার সেই মৃত দেহের ডিওডেনাম ছিড়ে খাচ্ছেন , কি নিদারুন বীভৎসতার উৎকর্ষতা ! আসলে এটা মানুষের কল্পিত ঋণাত্মক শক্তির  একটা রূপক  ,যত রকম বীভৎসতা আছে তার একটা ক্লাইম্যাক্স দেবার শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তবে এখানে সাধক বা শিল্পীর  কল্পনা ছাড়াও আরও কিছু বীভৎসতা যুক্ত করবার অবকাশ আপনি ও পাবেন কারণ ভালো বা মন্দের কোনো আদি অন্ত  থাকে না যেমন আদি অন্ত  থাকেনা ব্রম্ম বা পরমাত্মার । কিন্তু  শক্তি রূপিণী হলেই সে মাতৃ রূপিণী হবে তা নয় ,অপার শক্তি থাকলেও তিনি মাতা হতে পারেন না যদি তার মমতা বা প্রেম না থাকে ,এমন কি গর্ভে ধারণ করলেও নারী অনেকে ক্ষেত্রে  মা হতে পারে না। কোনো ঋণাত্মক  শক্তির উপস্থিতির পর্যায়ে  কেউ  কারো মা বাবা হবার অবস্থায় থাকে না আর হতে ও পারে না।যেমন কোনো মা পাগল হয়ে গেলে তার থেকে তার শিশু কে সরিয়ে রাখা হয় আর এখানে ও তো তাই যে  মায়ের পূজা করতে গেলে যদি একটু  ভুল হয়ে যায় আর তাতে  আমি যদি ধংস হয়ে যাই তবে পরম করুণাময়ী বা পরম দয়াময়ীর মহত্ত  থাকেনা। এখানে বলা যায় , বোমা বাধা আর মায়ের পূজা করা একই জিনিস ,বোমা বাঁধতে গেলে ভুল হলে ক্ষমা নেই ,অবধারিত মৃত্যু। আর আমার জগদীশ্বরী পরম দয়ামীর মায়ের বেলাতে ও তাই ? মাতৃত্ব কে এতো ছোট করা সত্যি  হাস্যকর। পশু বলি বা মানুষ বলি হচ্ছে ঋণাত্মক শক্তির আর এক বীভৎস উৎকর্ষতা অর্থাৎ  যেটা হিংসার  অন্তিম রূপ বলা যায় , কিন্তু প্রাচীন কাল থেকে ই  চলে আসছে এসব ট্রেডিশন  ,অবশ্য পূজা, সাধনা বা আধ্যাত্মিকতার সাথে এর  সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিপরীত অথচ আজ ও মানুষেরা  প্রাচীন সংস্কৃত  শাস্ত্রের রেফারেন্স কে সম্মান দিয়ে এখন ও  পশু বলি দেওয়া হয় অনেক বিখ্যাত মন্দিরে  ,কোনো কোনো মনোরোগী তো স্বপ্নে ভগবানের দেখা পেয়ে মানুষ ও বলি দেয় , কেউ কেউ কোনো বলির সুযোগ না পেয়ে চাল কুমড়া বলি দেয়, অর্থাৎ হিংসার ভাগশেষ কিন্তু রয়ে ই যাচ্ছে। হিংসার নিশান আজ ও উড়াচ্ছে মানুষ ।মানুষের কল্পনা তে  মানুষের দেবতা বা তার ভগবানের মধ্যে মানুষ তার ই  নিজের ব্যক্তিত্ব মিশিয়ে কখনো হিংস্র কখনো দয়াময়ী কখনো অভয়দায়িনী রূপে দেবতাকে প্রকট  করেছেন ,কখনো হয়তো শিব গড়াতে চেয়ে বাদর করে ফেলেছেন  আবার কেউ কেউ  বাদর ই গড়তে চেয়েছেন ,তাই কোনো প্রাচীন শাস্ত্র পাঠ যোগ্য হলেই তা গ্রহণ যোগ্য হবে সেটা নিশ্চিত নয়। ভারত বর্ষে ই শুধু নয় পৃথিবীতে অনেক রকম অপ শাস্ত্র আছে যা বাজেয়াপ্ত আছে  ,আর সংস্কৃত তে লেখা বলে  সেটা সব গুলো মানতে হবে তার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। মনে রাখতে হবে যা আমাদের সার্বিক মঙ্গল ও কল্যাণ করে তাই ই ধর্ম। মানুষের  মধ্যে থাকা হিংসার বলি দেওয়া ই হলো আধাত্মিকতা কিন্তু মানুষ সেই মানুষের কিংবা  পশুর বলি দিয়ে হিংসা কেই পূজা করছে , আধ্যাত্মিকতা তো দূরচ্ছাই। 

leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Your Name (required)

Email (required)

This email is not valid

Mobile No (required)

Thanks for commentining us.

Some issue during.......