বুদ্ধ ও শ্রী হরি চাঁদ

মতুয়াদের দাবি গৌতম বুদ্ধ নাকি শ্রী হরি ঠাকুর কে পৃথিবীতে আসার প্রার্থনা করে গেছিলেন। কিন্তু বুদ্ধ ও শ্রী হরি চাঁদ তো স্ববিরোধাত্মক একটি বিষয় কারণ গৌতম বুদ্ধ বেদ কে অস্বীকার করেছেন ,জন্মান্তরবাদ কে অস্বীকার করেছেন ,তাহলে বিষ্ণুলোক ,গোলোকবিহার এসব তো মানতেন ই না তাহলে তিনি গোলক বিহারি ,পূর্ণ ব্রম্মহ ( যদি ও ব্রম্মহ পূর্ণ বা অপূর্ণ ,পুরুষ বা নারী বলে কিছুই হয় না ) শ্রী বিষ্ণু ওরফে শ্রী হরি চাঁদ কে জগতে আসার প্রার্থনা কি করে করে থাকেন ? বুদ্ধ কে আইকন বানিয়ে মতুয়ারা ব্রাহ্মণ্যবাদ কে আঘাত করবার একটি কৌশল রচনা করেছেন ,বৌদ্ধ দর্শন এর সাথে মতুয়া দর্শন বা বৈদিক দর্শনের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। কামনাই দুঃখের কারণ বা অহিংসা পরম ধর্ম এগুলো বৈদিক দর্শনের বা মতুয়া মতবাদে আছে এটা কোনো নব আবিষ্কার নয়। তাছাড়া বৌদ্ধ দর্শন কয়েকটি শীল আর মতুয়া দর্শন এ কয়েকটি আজ্ঞার মধ্যে সীমাব্ধ রয়েছে এগুলো একরকম মতবাদ ,খ্রিস্ট ধর্ম দর্শন কেও ওকয়েকটি মণ্ডলীর মধ্যে সীমায়িত করা হয়েছে। বৈদিক দর্শন ছাড়া বাকি গুলো ধর্মীয় গুরুর না দাশনিকের বা প্রবর্তকের মনীষা ছাড়া আর কিছুই না।তবে প্রেমের লবনাক্ত অশ্রুতে বিচার বোধ ,আর থাকে না , কারণ চোখে যখন আবছা আবছা দেখতে পায় ,আমার মা আর অন্য কারো মা বলে আলাদা মনে হয় না ,প্রেমের জন্য যখন চোখে জল আসে তখন মতুয়া বা মুসলিম ,হিন্দু বা বৌদ্ধ এই ভেদ ভাব থাকে না ,উনি গোলকের সেই সত্য যুগের হরি কিনা ,কিংবা দ্বাপরের কৃষ্ণ কিনা ,রাম কিনা ,পূর্ণ নাকি অর্ধেক ব্রাম্ম সেগুলো অবান্তর হয়ে যায়, দেখার বিষয় হলো আপনি নিজেকে আপনার লক্ষ্যের বা ইষ্টের কাছে কত খানি সমর্পিত করতে পেরেছেন। যদি ভক্তি থাকে তবে আপনি যেকোনো মানুষ কে ভগবানের আসন দিতে পারেন, শুধু ভক্তি প্রয়োজন , ছোট বড় বিচার করতে গেলে আপনি নিজেকে ই ছোট করবেন। শ্রী শ্রী অশ্বিনী গোসাই কখনো ভাবার সময় পান নি যে তাঁর ভগবান কত শক্তিশালী ,অন্যের থেকে কত খানি আলাদা ,হরিচাঁদ এর পূর্ব পুরুষ হিন্দু না ব্রাম্মন ,রামের ,কৃষ্ণের থেকে ছোট না বড় ,আসলে কেউ যদি শুদ্ধ ভক্ত হয় তবে তো ইষ্টের নামে চোখের জল মুছতে মুছতে তার দিন কেটে যায় ।তবে হিন্দু ধর্ম থেকে মতুয়া মতবাদ কে আলাদা ধর্ম হিসেবে তুলে ধরার মতো মানসিকতা হলো অসাম্যবাদের একটি মডেল।
leave a reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *