প্রথম গুরু
গুরু ও ইষ্টের প্রতি সমর্পন ই হলো মানব জন্মের উদ্দেশ্য , সেই মাতা পিতা ই ভাগ্যবান ও সার্থক যাঁরা তার সন্তান কে ভাগবত পথে আত্ম নিবেদন করতে শেখায়। কেউ শক্তি নিয়ে জন্মায় ,কেউ জন্ম নেবার পরে শক্তি অর্জন করে নেয় , তাই কেউ শুকদেব ,কেউ বাল্মীকি অতএব আমার সন্তান জন্মগত ভাবে ভগবানের থেকে কি পেলো অর্থাৎ কোন রাশি, কোন নক্ষত্র সেটা দেখার থেকে বেশি দেখার বিষয় হলো তার জন্মের পর কি কি সংস্কার আমার থেকে পেলো , ক্রমান্বয়ে আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য আত্মা ই ক্রমাগত শরীর ধারণ করে একজন মাতা পিতার আশ্রয়ে এসে যায় , তাই মাতা পিতার প্রদত্ত সংস্কার বা শিক্ষার কারণে কোনো সন্তানের অর্থাৎ আত্মার উন্নয়নে বাধাঁ হয়ে দাঁড়ায় তবে সেটা ই তো হয় মাতা পিতার মহাপাপ , যদিও এই পাপের কিছুটা ফল অনেকটাই মাতা পিতা তাদের বর্তমান জনমে ই পেয়ে যায়। আমরা কখনো নিষ্ঠুর অপ্রিয় সত্য জানতে পারি যে কেউ কেউ নাকি তার মা বাবাকে যত্ন করে না এমনকি খেতে ও দেয় না। মাতা পিতা হয়ে গেলে সন্তানের প্রথম ও সব থেকে বড় গুরু হতে হয় ,এটা যেমন অপূর্ব গরিমা তেমনি হস্তান্তরযোগ্যহীন এক গুরু দায়িত্ব। অর্থাৎ আত্মা এর বিকাশ ও লালনের এর গুরু দায়িত্ব আমরা ভগবানের কাছ থেকে যেচে নিলাম। হে ভগবান, আমাকে একটি সু- সন্তান দিয়ে মাতা বা পিতা ডাক শুনবার সৌভাগ্য করে দিন। এর অর্থ হলো এক আত্মাকে আমার জিম্মায় নিলাম ,আর যদি আমি সেই আত্মার হেফাজত করতে না পারি অর্থাৎ আমার সন্তান কে সংস্কার দিয়ে তার আত্মোন্নয়ন না করতে পারি তবে তার শাস্তি মা বাবা কে ও পেতে হয়। সন্তানের প্রথম গুরু দেব হয়ে যদি ভুল করি তবে তার প্রভাব মাতা পিতার পর পড়বেই , ভগবানের থেকে ও বড় হলো সত্য। সত্য সূর্য সবাইকে সমান ভাবে দেখেন।
suvam
sir, manuser jonmno-punorjonmo nia kichu bolen.